বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক নতুন উদ্যোগ জন্ম নিচ্ছে, যেগুলো দেশের তরুণ সমাজকে ডিজিটাল দক্ষতায় গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি নাম হলো জিটাএস বাংলাদেশ (Jitaace Bangladesh)। এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত প্রযুক্তি ও শিক্ষাভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্ম, যা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সফটওয়্যার সমাধান এবং ডিজিটাল ইনোভেশন প্রজেক্টে কাজ করে থাকে।
প্রতিষ্ঠার পেছনের ভাবনা
জিটাএস বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো দেশের তরুণ সমাজকে প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ করে তোলা, যাতে তারা ভবিষ্যতের চাকরি বাজারে নিজেদের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। অনেক তরুণই উচ্চশিক্ষা শেষ করার পরও সঠিক স্কিল না থাকার কারণে চাকরি পায় না। জিটাএস বাংলাদেশ সেই ফাঁকটি পূরণ করতে চায়।
প্রধান সেবা ও কার্যক্রম
- টেকনিক্যাল ট্রেইনিং: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ডেটা এনালাইসিসসহ বিভিন্ন হাই-ডিমান্ড কোর্স।
- ই-লার্নিং সাপোর্ট: অনলাইন কোর্স এবং ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমে ঘরে বসে শেখার সুযোগ।
- উদ্যোক্তা সহায়তা: নতুন উদ্যোক্তাদের আইডিয়া ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস প্ল্যানিং এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান।
- ইন্টার্নশিপ ও জব কানেকশন: শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রি-ভিত্তিক ইন্টার্নশিপের সুযোগ ও চাকরি সংযোগ।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
জিটাএস বাংলাদেশ শুধু একটি শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায় যেখানে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষা, দক্ষতা অর্জন এবং কর্মসংস্থানের পুরো যাত্রাটিই সম্পন্ন করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রযুক্তির আলো পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
সামাজিক প্রভাব
এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম দেশের শিক্ষিত বেকারত্ব কমাতে ভূমিকা রাখছে। একইসাথে, নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের সাথে দেশের তরুণদের যুক্ত করা এবং একটি দক্ষ কর্মশক্তি গড়ে তুলতে জিটাএস বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য।